রোটারিয়ান ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ: প্রতি বছর ৩ নভেম্বর, ২০২৪ - বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে "ওয়ান হেলথ দিবস," আর এই বছরের মূল বার্তা "আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার"। এই আহবান ব্যক্তিগত অধিকার ও বৈশ্বিক দায়িত্বের মিলিত আওয়াজ, যা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মানুষ, প্রাণী ও প্রকৃতির স্বাস্থ্য একসূত্রে গাঁথা। মানুষের সুস্বাস্থ্য শুধু নিজস্ব অধিকার নয়, বরং এটি আমাদের সামষ্টিক দায়িত্বের অংশও। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যাওয়ার অভিপ্রায়ে বাংলাদেশ সহ বিশ্বজুড়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বিশ্ব ডিম দিবস (World Egg Day) প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবারে উদযাপিত হয়, যা ২০২৪ সালে ১১ অক্টোবর পালিত হবে। এই দিবসটি ডিমের পুষ্টিগুণ, স্বাস্থ্য উপকারিতা, এবং মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিমের অবদান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে পালিত হয়।

বিশ্ব ডিম দিবসের উদ্দেশ্য:

বিশ্ব ডিম দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হল মানুষের খাদ্যাভ্যাসে ডিমের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই দিবসটি ডিম উৎপাদকদের জন্যও একটি বিশেষ দিন, যেখানে তারা ডিমের উৎপাদন এবং বিতরণে নিজেদের অবদান প্রদর্শন করতে পারেন। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে ডিম দিবসে আলোচনা সভা, প্রচারণা, এবং স্কুল-কলেজে শিক্ষামূলক কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।


দুধ কেবল শিশু খাদ্য নয়, এটি সব বয়সের মানুষের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিসম্পন্ন একটি খাদ্য। দুধ হচ্ছে সুপার ফুড বা সর্বগুণ সম্পন্ন খাবার। খাদ্যের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- শর্করা, আমিষ বা প্রোটিন, স্নেহপদার্থ বা ফ্যাট, ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ, খনিজ লবণ ও পানি আল্লাহ তাআলা দুধের মধ্যে দিয়ে দিয়েছেন। সারা পৃথিবীতে সুষম খাবার হিসেবে দুধ ও দুধের তৈরি খাবার যেখানে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে, সেখানে আমাদের দেশে কোমল পানীয় বা এনার্জি ড্রিংকসকে প্রমোট করা হয়। রোগ-প্রতিরোধ সমৃদ্ধ জাতি গড়ে তুলতে হলে আমাদের এসব কোমল পানীয় পরিহার করে দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কেননা দেহের বিকাশ, পুষ্টির অভাব পূরণ ও মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য দুধের পুষ্টি উপাদানের কোনো বিকল্প নেই।


যিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পালিত হয়ে থাকে। ঈদুল আযহার অন্যতম একটি আনুষ্ঠানিকতা হলো পছন্দের পশুকে কোরবানি করা। মুসলিমদের এই উৎসবে সামর্থ্যবানরা পছন্দমতো পশু কোরবানি দিয়ে আল্লাহর কাছে তার তাকওয়া প্রদর্শন করে। সামর্থ্যবানদের কোরবানি গরুর মাংসের একটি অংশ থাকে গরিবদের জন্য। আর এই কোরবানির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সুস্থ ও সবল পশু নির্বাচন করা। সবাই ভালো গরুটিই পছন্দ করতে চায়, এজন্যে সবার নজর থাকে গরুর স্বাস্থ্যের প্রতি। এই উৎসবকে পুঁজি করে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করে দ্রুত গরু মোটাতাজাকরণের দিকে ঝুঁকছে। তাই কোরবানির হাটে যাওয়ার আগে অবশ্যই সুস্থ সবল পশু চিহ্নিত করার উপায়সমূহ জেনে নেওয়া উচিত।

সাধারণত যখন চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম থাকে তখন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। তাহলে কি বাংলাদেশে চাহিদা তুলনায় গরুর মাংসের উৎপাদন হচ্ছে না? গত ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ এ প্রকাশিত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য মতে, দেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাংসের উৎপাদন হয়েছে ৮৭.১০ লাখ মেট্রিক টন। মাথাপিছু প্রতিদিন ১২০ গ্রাম মাংসের চাহিদার বিপরীতে প্রাপ্যতা ১৩৭.৩৮ গ্রাম। যদিও সেটা আবার ২০২১-২২ অর্থবছরের থেকে কম। সে বছর মাংসের উৎপাদন ছিল ৯২.৬৫ লাখ মেট্রিক টন ও দিনে মাথাপিছু মাংসের প্রাপ্যতা ছিল ১৪৭.৮৪ গ্রাম। ২১-২২ বছরের চেয়ে ২২-২৩ এ উৎপাদন কিছুটা কম হলেও প্রাপ্যতার হিসেবে বরং

?>