আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার’: বিশ্ব ওয়ান হেলথ দিবস ২০২৪-এ এক প্রতিজ্ঞা

রোটারিয়ান ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ: প্রতি বছর ৩ নভেম্বর, ২০২৪ - বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে "ওয়ান হেলথ দিবস," আর এই বছরের মূল বার্তা "আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার"। এই আহবান ব্যক্তিগত অধিকার ও বৈশ্বিক দায়িত্বের মিলিত আওয়াজ, যা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মানুষ, প্রাণী ও প্রকৃতির স্বাস্থ্য একসূত্রে গাঁথা। মানুষের সুস্বাস্থ্য শুধু নিজস্ব অধিকার নয়, বরং এটি আমাদের সামষ্টিক দায়িত্বের অংশও। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যাওয়ার অভিপ্রায়ে বাংলাদেশ সহ বিশ্বজুড়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ওয়ান হেলথের ধারণা এবং তার প্রয়োজনীয়তা

ওয়ান হেলথ একটি সমন্বিত ও সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি যা মানুষ, প্রাণী এবং পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একসঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখার চেষ্টা করে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাণী থেকে মানবজাতিতে রোগের সংক্রমণ বা "জুনোটিক রোগ" ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে COVID-19 এর মতো মহামারি দেখিয়েছে যে প্রাণী ও মানুষের মধ্যে রোগের সংক্রমণ কীভাবে বিশ্বব্যাপী সংকটের জন্ম দিতে পারে।

বাংলাদেশ, যেখানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কৃষি এবং প্রাণিসম্পদের উপর নির্ভরশীল, সেখানে ওয়ান হেলথের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। এখানে মানুষের স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একসাথে কাজ করতে হবে।

আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরি

আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে চাইলে, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এই বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে, তার মধ্যে রয়েছে:

  1. পরিবেশ সংরক্ষণ: গাছ লাগানো, বায়ু ও পানি দূষণ রোধ এবং প্রাণীজ বৈচিত্র্য সংরক্ষণে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। পরিবেশের সাথে আমাদের আচরণে ভারসাম্য আনলে কেবল মানুষই নয়, সব জীব ও উদ্ভিদের স্বাস্থ্যও উন্নত হবে।
  2. সচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন যেন সবাই পরিবেশের জন্য দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারে। যেমন, অপ্রয়োজনীয় পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং দূষণ কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা।
  3. টেকসই কৃষি খাদ্য উৎপাদন: নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য টেকসই কৃষি পদ্ধতির উন্নয়ন প্রয়োজন। কৃষিজমির অপব্যবহার কমাতে এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে এনে খাদ্য উৎপাদনের একটি স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি নিশ্চিত করতে হবে।
  4. জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া রোধের জন্য সকল দেশকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, বন্যা ও খরার মতো সংকটের মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
  5. স্বাস্থ্য রোগ নিরাময় ব্যবস্থা উন্নয়ন: মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একযোগে সংরক্ষণের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে হবে। এতে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং মহামারি মোকাবিলায় প্রস্তুতি শক্তিশালী হবে।

একযোগে কাজের মাধ্যমে মহামারি প্রতিরোধ

ওয়ান হেলথ দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, মানুষের স্বাস্থ্য প্রাণী এবং পরিবেশের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে সম্পর্কিত। এজন্য প্রাণী, উদ্ভিদ, এবং পরিবেশের বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, সামাজিক বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। এভাবে একে অপরের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান শেয়ার করে আমাদের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

ওয়ান হেলথের উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে মহামারি নিয়ন্ত্রণের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। COVID-19 মহামারির কারণে সৃষ্ট অভিজ্ঞতা আমাদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে, এই জাতীয় মহামারিগুলি প্রতিরোধে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশকেই যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে এবং ওয়ান হেলথ নীতিকে অনুসরণ করতে হবে।

ওয়ান হেলথে সকল খাতের ভূমিকা

ওয়ান হেলথের সফল বাস্তবায়নে বিভিন্ন খাতের সমন্বিত ভূমিকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মেডিকেল সায়েন্টিস্ট, পশুচিকিৎসক, কৃষিবিদ, পরিবেশবিদ, প্রকৌশলী, এবং সামাজিক বিজ্ঞানীরা একযোগে কাজ করতে পারেন।

  • মেডিকেল পশু চিকিৎসক: মানবদেহ ও প্রাণীর স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন করা।
  • কৃষিবিদ খাদ্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ: নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, রাসায়নিক মুক্ত চাষাবাদ, এবং কৃষিজমির সঠিক ব্যবহারে ভূমিকা পালন করা।
  • পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রকৌশলী: পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা।

এই বহুমাত্রিক সহযোগিতা ও গবেষণা ভবিষ্যতে ওয়ান হেলথ কৌশলের সফলতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট

ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা, যা মানব, প্রাণী, এবং পরিবেশের স্বাস্থ্যকে সমন্বিত করে কার্যকরী সমাধান খুঁজে বের করার জন্য গঠিত হয়েছে। এ ধারণার মূল লক্ষ্য হলো যে সকল জীবের স্বাস্থ্য পরস্পর সম্পর্কিত এবং যে কারণে একটি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি হলে সেটি অন্য ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে।

বাংলাদেশে ওয়ান হেলথ ধারণার প্রয়োজনীয়তা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিভিন্ন রোগ যেমন সংক্রামক রোগ, জ়ুনোটিক রোগ (যা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়), এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (যা রোগ প্রতিরোধের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়) নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়। এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তন, বন্যপ্রাণীর অবৈধ শিকার ও ট্রাফিকিং, এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে পরিবেশের ক্ষতি মানুষের ও প্রাণীর স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে।

ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা যেমন চিকিৎসক, ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ বিজ্ঞানী, গবেষক, এবং সরকারী-বেসরকারী সংস্থাগুলি একসাথে কাজ করে। এই উদ্যোগের আওতায় গবেষণা, প্রশিক্ষণ, এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়, যা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই প্রেক্ষাপটে, ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ প্রাণী ও মানুষের স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নীতিগত ও বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা প্রণয়নে মনোযোগ দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ওয়ান হেলথের গুরুত্ব

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ওয়ান হেলথ কৌশল গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, এবং পরিবেশ দূষণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ওয়ান হেলথের অন্তর্ভুক্ত কার্যক্রমগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের মতন জলবায়ু সংকটের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া অপরিহার্য।

বাংলাদেশে ওয়ান হেলথ কার্যক্রম উন্নত করার জন্য কৃষি, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ খাতকে সমন্বিত করতে হবে এবং দেশের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সঠিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে, এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে আমরা এই মহৎ উদ্যোগকে সফল করতে পারি।

বাংলাদেশে ওয়ান হেলথ উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞদের অবদান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধারণার বাস্তবায়ন এবং সাফল্যের পেছনে প্রফেসর ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ, আইইডিসিআর (ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ), এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

প্রফেসর ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ

প্রফেসর ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ ওয়ান হেলথ ধারণা নিয়ে গবেষণা এবং নীতিমালা তৈরিতে একজন অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব। তার গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশে সংক্রামক রোগ এবং প্রাণী-মানব-পরিবেশ সম্পর্কিত ঝুঁকির বিভিন্ন দিক নিরূপণ এবং নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তিনি দেশে ওয়ান হেলথ পদ্ধতির সচেতনতা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্য, পরিবেশ, ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

আইইডিসিআর (IEDCR)

আইইডিসিআর, বাংলাদেশের অন্যতম একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, সংক্রামক রোগের নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই প্রতিষ্ঠানটি ওয়ান হেলথ উদ্যোগে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন সংক্রামক রোগের নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। আইইডিসিআর মানুষের মধ্যে প্রাণীজ রোগ ছড়ানোর কারণ, প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ, এবং জনস্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠান

অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেমন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (BLRI), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (BAU), এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি যেমন ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (FAO) এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) ওয়ান হেলথ উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ সকল প্রতিষ্ঠান গবেষণা, প্রশিক্ষণ, এবং নীতি উন্নয়নে সহযোগিতা করছে।

সম্মিলিত কার্যক্রম

বাংলাদেশে ওয়ান হেলথ উদ্যোগে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সমন্বিত ভূমিকা রয়েছে, যা নিম্নোক্তভাবে কাজ করে:

  1. রোগ নজরদারি: সংক্রামক রোগের ত্বরিত সনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ।
  2. প্রশিক্ষণ সচেতনতা: কৃষক, চিকিৎসক, এবং সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করা।
  3. গবেষণা উন্নয়ন: নতুন রোগের উৎস এবং সংক্রমণ পথ সম্পর্কে গবেষণা চালানো।
  4. নীতিমালা প্রণয়ন: সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্য, পরিবেশ, ও প্রাণিসম্পদ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর নীতিমালা গঠন।

ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে প্রফেসর ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ, আইইডিসিআর, এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলির এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে উন্নত মানের নীতিমালা ও সচেতনতা গড়ে তুলতে সহায়তা করছে। বিশ্ব ওয়ান হেলথ দিবসের এই আহ্বানে আমাদের সবাইকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে যে, আমরা একটি সুস্থ এবং বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য কাজ করব। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে এবং একযোগে কাজ করতে হবে।

ওয়ান হেলথের মূল লক্ষ্যই হলো স্বাস্থ্যগত সমন্বয় ও সার্বিক দায়িত্ব পালন করা। আজকে এই দিবসে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিক, সংস্থা, এবং প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানাই, যেন আমরা সবাই মিলে এই পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য ও সুন্দর রাখার দায়িত্ব গ্রহণ করি।

পরিশেষে, আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি— "আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার," এবং আমাদের সুস্থতা ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এই নীতিকে অনুসরণ করি।

?>