মৎস্য চাষে আধুনিক প্রযুক্তির সম্পসারণে ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড, ডাচ এ্যাম্বাসি এবং লারিভ ইন্টারন্যাশনাল এর যৌথ উদ্যোগ


বাংলাদেশে মৎস্য খাতের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে উৎপাদন ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মৎস্য চাষীদের মাঝে প্রযুক্তির সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিন বছর মেয়াদী একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড, এ্যাম্বাসি অব দ্যা কিংডম অব দ্যা ন্যাদারল্যান্ডস্ ঢাকা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল এবং লাইট ক্যাচল্ পার্টনার্স। ’ফুডটেক বাংলাদেশ’ শীর্ষক উক্ত প্রকল্পের আওতায় স¤প্রতি, গত ৯ ডিসেম্বর, ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার মাঝিয়ালীতে একটি ’অ্যাকোয়াকালার সেন্টার

অফ এক্সিলেন্স (সিওই)’ প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এই ’অ্যাকোয়াকালার সেন্টার অফ এক্সিলেন্স এ থাকবে একটি পন্ড রিসার্কুলেটরি অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেম (পন্ড আরএএস), ট্যাংক রিসার্কুলেটরি অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেম (ট্যাংক আরএএস) এবং একটি ট্রেইনিং সেন্টার। যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প আয়তনের জলাশয়ে উচ্চ ঘনত্বে সাফল্যের সাথে  মাছ চাষ করে তা স্থানীয় মৎস্য চাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিস্ সারা ভ্যান হোভে, ফার্স্ট সেক্রেটারি, এ্যাম্বাসি অব দ্যা কিংডম অব দ্যা ন্যাদারল্যান্ডস্ ঢাকা, জনাব মোহাম্মাদ তারেক সরকার, ডিরেক্টর (আরএন্ডডি), ফিসটেক বিডি লিমিটেড, জনাব মো. নাজিম উদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ময়মনসিংহ, জনাব ওসমান হারুনী, সিনিয়র পলিসি এডভাইজর, এগ্রিকালচার এন্ড ফুড সিকিউরিটি, ট্রেড এন্ড বিজনেস ডেভেলপ্মেন্ট, এ্যাম্বাসি অব দ্যা কিংডম অব দ্যা ন্যাদারল্যান্ডস্ ঢাকা, মিস্ লরা ডার্কস, ইমার্জিং মার্কেট এডভাইজর, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, জনাব নুয়েন ভ্যান তিয়েন ডিলন, গোবাল অ্যাকোয়া আরএন্ডডি টিম লিডার, ডি হিউজ ফিড্স এবং জনাব প্রিয় প্রান্ত, বিজনেস কনসালটেন্ট, লাইট ক্যাচল্ পার্টনাস।

সারা ভ্যান হোভে, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি - বাংলাদেশী জলজ, কৃষি ও মৎস্য চাষের সম্ভাবনা এবং উচ্চ উৎপাদনশীলতার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এর পাশাপাশি তিনি খাদ্য নিরাপত্তায় পুষ্টি ও খাদ্যের মান বজায় রাখার স্বার্থে আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উৎপাদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহবান জানান।
ফিসটেক বিডি লিমিটেডের ডিরেক্টর মোহাম্মাদ তারেক সরকার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের চাষীদের মাঝে আধুনিক প্রযুক্তি, জ্ঞান ও সেবার ব্যাপক প্রসারের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো। ” ডাচ প্রযুক্তির ব্যবহার মৎস্য খাতে নতুন সম্ভাবনার তৈরি হচ্ছে। এর মাধ্যমে মাছের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে চাষীদের প্রশিক্ষণ ছাড়াও উন্নতমানের মাছ চাষের সরঞ্জাম সরবরাহ হচ্ছে। এর ফলে, উৎপাদিত মাছ দেশীয় চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি রপ্তানির জন্য সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
ময়মনসিংহের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন বলেন "প্রযুক্তি ও জ্ঞান স্থানান্তর, বিশেষ করে নেদারল্যান্ডস থেকে প্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশের মৎস্য চাষকে বদলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যোগ করেন, ”ময়মনসিংহে সিওই প্রতিষ্ঠা একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে। এই কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা মৎস্য চাষে গুণগত বিচারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

এই কেন্দ্রের মাধ্যমে ময়মনসিংহের স্থানীয় ২০০ জনের অধিক মৎস্য চাষীকে মাছ চাষে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দক্ষতা ও উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে এই সে› টার অব এক্সিলেন্সে (সিওই) বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে দর্শকরা এই প্রযুক্তিগুলির সর্বোত্তম ব্যবহার স¤পর্কে জানতে পারবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ডাচ সরকার এবং স্থানীয় অংশীদারদের সহযোগিতায় এই প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে আরও তিনটি সিওই খুলনা, কক্সবাজার এবং পটুয়াখালীতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতি কেন্দ্রে ২০০ জন করে মোট ৮০০ জন মৎস্য চাষীদেরকে আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এই দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে কনসোর্টিয়ামের প্রতিনিধিরা তাদের ভ‚মিকা ও কার্যক্রম বিষয়ক উপস্থাপনাতুলে ধরেন জনাব জনাব প্রিয় প্রান্ত, বিজনেস কনসালটেন্ট, লাইট ক্যাচল্ পার্টনাস, জনাব নুয়েন ভ্যান তিয়েন ডিলন, গোবাল অ্যাকোয়া আরএন্ডডি টিম লিডার, ডি হিউজ ফিড্স এবং জনাব মো. আরিফুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকউিটিভ (আরএন্ডডি), ফিসটেক বিডি লিমিটেড।

?>