লাইভস্টক এন্ড নিউট্রিশন এক্টিভিটি এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর মধ্যকার চুক্তি স্বাক্ষর

ইউএসএআইডি (USAID) -এর অর্থায়নে পরিচালিত ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ লাইভস্টক এন্ড নিউট্রিশন এক্টিভিটি এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদে কৃষক পর্যায়ে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খরচ কমাতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। 

গত ৬ জুলাই, ২০২৩, বৃহস্পতিবার, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর হেড অফিসে, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর জনাব মোহাম্মদ মোস্তফা হাসান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, কমার্শিয়াল এন্ড হিউম্যান রিসোর্স এবং বাংলাদেশ লাইভস্টক এন্ড নিউট্রিশন এক্টিভিটি এর জনাব নুরুল আমিন  সিদ্দিকী,  চিফ অফ  পার্টি,  তাদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান এর পক্ষ থেকে এই চুক্তিস্বাক্ষর করেন।

এই চুক্তির অধীনে “প্রতিকার অপেক্ষা প্রতিরোধ উত্তম”, এই ধারনাকে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে প্রাণি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সাথে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সেবাদানকারী ব্যক্তি, এবং খামারীদের সাথে কাজ করা হবে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ২টি সহ মোট ২৩ টি জেলায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

পর্যাপ্ত সংখ্যক ভেটেরিনারিয়ান না থাকার কারনে, প্রান্তিক খামারীরা সাধারনত স্থানীয় সেবাদানকারী এবং ওষুধের দোকানে কর্মরত ব্যক্তির স্মরণাপন্ন হন। চিকিৎসা বিষয়ে এসকল ব্যক্তির পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় তারা প্রায়শই অনুমান নির্ভর চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন। ফলে অনেক সময় প্রাণী মারা যায়, প্রাণির রোগ সেড়ে উঠতে বেশি সময় লাগে এবং খামারির চিকিৎসা ব্যয় বেশি হয়। এছাড়াও, ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসা এবং ওষুধের অপব্যবহারের ফলে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স (এন্টিবায়োটিক ওষুধ কাজ না করা) মারাত্নক আকার ধারন করছে। 

এসকেএফ এবং লাইভস্টক এক্টিভিটি এই চুক্তির আওতায় আগামী দুই বছরে মোট ২,০০০ ভেটিরিনারি ওষুধ বিক্রেতা, ৫,০০০ স্থানীয় সেবাদানকারী, এবং ৪০,০০০ খামারীকে প্রাণির রোগ প্রতিরোধ এবং প্রাণির পুষ্টিগত দিক নিয়ে অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানগণ প্রশিক্ষন প্রদান করবেন। আশা করা যায়, এই প্রকল্পের ফলে প্রান্তিক খামারিদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে এবং প্রাণি চিকিৎসা বাবদ খরচ কমে আসবে। সেই সাথে খামারের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়াও, এই প্রকল্পের আওতায় এসকেএফ আঞ্চলিক পর্যায়ে ১০টি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র (প্যাথোলজি ল্যাব) স্থাপন করবে। এসব কেন্দ্রে খামারীগণ তাদের অসুস্থ প্রাণির সঠিক রোগ নির্ণয় করতে এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহন করতে পারবেন।

জনাব মোহাম্মদ মোস্তফা হাসান বলেন, এসকেএফ-র লক্ষ্য হল মানসম্পন্ন প্রোটিন ফুড চেইন নিশ্চয়তার মাধ্যমে মানবতার সর্বোত্তম সেবা করা এবং এই চুক্তি দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামীণ প্রাণিসম্পদের বিকাশে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস এর ডাঃ খায়রুল আলম, টেকনিক্যাল সার্ভিসেস ম্যানাজার ও বাংলাদেশ লাইভস্টক অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি এর রেবেকাহ বেকউইজ, পরিচালক-প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, নুরুল করিম ভূঁইয়া, মার্কেট সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট লিড সহ আরো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

?>