"দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যগুলি খাদ্য তালিকা থেকে কখনই বাদ দেওয়া উচিত নয়" - আর এস মাহমুদ হাসান


দুধ কেবল শিশু খাদ্য নয়, এটি সব বয়সের মানুষের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিসম্পন্ন একটি খাদ্য। দুধ হচ্ছে সুপার ফুড বা সর্বগুণ সম্পন্ন খাবার। খাদ্যের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- শর্করা, আমিষ বা প্রোটিন, স্নেহপদার্থ বা ফ্যাট, ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ, খনিজ লবণ ও পানি আল্লাহ তাআলা দুধের মধ্যে দিয়ে দিয়েছেন। সারা পৃথিবীতে সুষম খাবার হিসেবে দুধ ও দুধের তৈরি খাবার যেখানে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে, সেখানে আমাদের দেশে কোমল পানীয় বা এনার্জি ড্রিংকসকে প্রমোট করা হয়। রোগ-প্রতিরোধ সমৃদ্ধ জাতি গড়ে তুলতে হলে আমাদের এসব কোমল পানীয় পরিহার করে দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কেননা দেহের বিকাশ, পুষ্টির অভাব পূরণ ও মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য দুধের পুষ্টি উপাদানের কোনো বিকল্প নেই।

বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের ইতিহাস ঃ
দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের নানা উপকারিতা বিষয়ে জনমানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে ও খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (Food and Agriculture Organization- FAO) ২০০১ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ১ জুন "বিশ্ব দুগ্ধ দিবস" পালন করে আসছে। বাংলাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরতে, ডেইরি খাতের কার্যক্রম বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এবং দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্ত করাকে উৎসাহিত করতে প্রতিবছর দিনটি উদযাপন করে আসছে।

দুগ্ধ দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিঃ
প্রতি বছর দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন দেশে নানান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে দুধ সম্পর্কে নানান বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই দিনে, দুধ এবং দুগ্ধজাত বিভিন্ন খাবার গ্রহণের যে সুবিধা রয়েছে তা প্রচার করা হয়, জাতীয় অর্থনীতিতে দুগ্ধ শিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের মাধ্যমে দুগ্ধ পণ্য বহুমুখীকরণে পরামর্শ প্রদান ক্যাম্পেইন, প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর আয়োজন, বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পেইন, কৃমিনাশক ওষুধ বিতরণ, টিকাদান ক্যাম্পেইন, দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য পান করানোর মতো কর্মসূচি সহ জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম পালন করা হয়। এছাড়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার যৌথ আয়োজনে বিভিন্ন সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশে দুধের চাহিদা বনাম প্রাপ্যতাঃ
বর্তমানে দেশে মাথাপিছু দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ২২১.৮৯ মিলিলিটার। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দুধের মূল উৎস গরু। ৯০ শতাংশ দুধ আসে গরু থেকে, ৮ শতাংশ আসে ছাগল থেকে এবং ২ শতাংশ আসে মহিষ থেকে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যমতে, টানা চার বছর ধরে ছাগলের দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তবে মোট দুধ উৎপাদনে দেশের অবস্থান বিশ্বে ২৩ তম। গরু ও ছাগল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধ উৎপাদনের বৈশ্বিক সূচকেও কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। এ ধারা বজায় থাকলে বাংলাদেশ খুব দ্রুত মাংস ও ডিমের মতো দুধ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে।

ডিএলএস এর ২০২২-২৩ অর্থবছরের ‘লাইভস্টক ইকোনমি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ডিম, মাংস ও দুধের উৎপাদনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এ তথ্যমতে, এখন দেশে গড়ে ১৫৮.৫০ লাখ মেট্রিক টন দুধের চাহিদা রয়েছে। এ পরিমাণ চাহিদার বিপরীতে দেশে উৎপাদন হচ্ছে ১৪০.৬৮ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় দুধের ঘাটতি ১৭.৮২ লাখ মেট্রিক টন। এ বাকি চাহিদা পূরনে আমাদের আমদানি করা গুঁড়ো দুধের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। তবে বাকি চাহিদা অনুযায়ী সরকার আরও দুধ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশকে দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। দেশের ডেইরি শিল্পের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে (৪২৮০ কোটি টাকা) "প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প -এলডিডিপি (Livestock and Dairy Development Project -LDDP)" এর মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বাজারজাতকরণ, ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, পশুবীমা চালুকরণ এবং দুধের ভোক্তা সৃষ্টির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।  সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে ১৭.৮২ লাখ মেট্রিক টন ঘাটতি আছে তা পূরণ করা সম্ভব হবে। সুস্থতার জন্য দুধ পানের কোন বিকল্প নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization-WHO) তথ্যমতে, প্রতিদিন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা উচিত, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশে মাথাপিছু দুধের প্রাপ্যতা ২২১.৮৯ মিলিলিটার। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দুধের উৎপাদন ছিল ৬০.৯২ লাখ মেট্রিক টন। গত ১০ বছরে দুগ্ধশিল্প খাত ব্যপকভাবে বিকশিত হয়েছে। দুধ উৎপাদন গত এক দশকের ব্যবধানে দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন খামারিরা ও ভেটেরিনারিয়ানরা। ডিএলএস এর ২০২২-২৩ অর্থবছরের লাইভস্টক ইকোনমি শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে দুধ ছাড়াও মাংস ও ডিমের উৎপাদন বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে দুগ্ধ শিল্পের ভূমিকাঃ
দুগ্ধ বা ডেইরি সেক্টর জীবন জীবিকা ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির অন্যতম এক উদাহরণ। বাংলাদেশের দুগ্ধ সেক্টর দেশের মানুষের পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে যে অবদান রাখছে তা অনস্বীকার্য। দেশের মোট কর্মসংস্থানের প্রত্যক্ষভাবে ২১ শতাংশ এবং মোট আমিষের ৮ শতাংশ আসে দুগ্ধ সেক্টর থেকে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে দুগ্ধ খাত সরাসরি প্রভাব ফেলে। এ খাত গ্রামে বহু বেকারকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ও চাকরির সুযোগ করে দিতে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) মাধ্যমে গবাদিপশুর খামার তৈরিতে তরুণ উদ্যোক্তাদের ঋণ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেওয়া হয়। ডেইরি শিল্প বিপুলসংখ্যক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্য বিমোচনসহ পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণে অবদান রাখছে।
একসময় খামারিদের ছোট করে দেখা হতো। কিন্তু সে চিন্তাধারা এখন পরিবর্তন হয়েছে। কারণ বর্তমানে অনেক শিক্ষিত যুবক দুধের খামার করছেন। দুগ্ধশিল্পে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের খুব কাছাকাছি পর্যায়ে আছি। সরকারের পক্ষ থেকে দুগ্ধ শিল্পকে এগিয়ে নিতে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস’ এর তথ্যমতে, গবেষণায় দেখা গেছে এক টন দুধ উৎপাদন এবং এর প্রক্রিয়াকরণ এবং বাজারজাতের সাথে সম্পৃক্ত ৩৭ টি শ্রমজীবী পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। সরকার দেশীয় গবাদি পশুর জাত উন্নয়নের জন্য নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ডেইরি শিল্পের বিকাশে সরকার বিগত ২০১৮ সাল থেকে দেশে ৫% হারে স্বল্প সুদে প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকা করে উদ্যোক্তাগণকে ঋণ প্রদান করছে। বর্তমানে শিশু খাদ্যের জন্য গুঁড়া দুধ আমদানিতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। ডেইরি শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে দেশে শিশু খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব হলে অদূর ভবিষ্যতে দেশে দুধ এবং দুধজাত পণ্য আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

কেন নিয়মিত দুধ খাবেনঃ
    দুধ ব্যালেন্স ফুড বা আদর্শ খাবার। নিয়মিত দুধ পানের অভ্যাস আমাদের সুস্থ, সবল ও নিরোগ জাতিতে পরিণত করবে। গরুর দুধ মা এর দুধের পর সবচেয়ে উপকারী হিসেবে ধরা হয়। ১০০ মিলিলিটার গরুর দুধে ৬৬ ক্যালরি রয়েছে। গরুর দুধে পানি আছে ৮৬.৫ শতাংশ, ল্যাকটোজ ৪.৮ শতাংশ, চর্বি ৪.৫ শতাংশ, প্রোটিন ৩.৫ শতাংশ এবং ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ ০.৭ শতাংশ।

    দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি-উপাদান। এতে আছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, কোবাল্ট, কপার, জিংক, আয়োডিন, ফসফরাস, প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন বি-১২, নিয়াসিন ও রিবোফ্লাভিন প্রভৃতি। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যেগুলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।


    দুধ থেকে দই, মাঠা, ছানা, পাস্তুরিত তরল দুধ, গুঁড়ো দুধ, ঘি, মাখন, পনির, লাচ্ছি, লাবাং, আইসক্রিম, চকলেটসহ নানা ধরনের উপাদেয় মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। দুগ্ধজাত পণ্য টক দই প্রোবায়োটিক বা উত্তম ব্যাকটেরিয়ার উত্তম উৎস। প্রোবায়োটিক নানা ধরণের টিউমার রোধ করে। এছাড়া পনিরে থাকা সালফার, প্রোটিন, স্যাটুরেটেড ফ্যাট, ক্যান্সার রোগীর জন্য খুব উপকারী।

    ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি হাড় ও দাঁতের ক্ষয়রোধ করে ও দাঁত মজবুত করে। সিরোটোনিন হিসাবে দুধে থাকা ট্রিপটোফান শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। পটাসিয়াম রক্তচাপ বাড়তে দেয় না। ভিটামিন, মিনারেল ফিটনেস বাড়ায় ও মানসিক চাপ কমায়। ফলে ঘুম ভালো হয়। অনেক মনে করে দুধ খেলে ওজন বাড়ে। তবে এটি মোটেও ঠিক নয়। দুধ খেলে বরং ওজন কমে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

    হজম শক্তি বাড়াতে হালকা গরম দুধ আর মেদ কমাতে ঠান্ডা দুধ উপকারী। দুধ আমাদের হাড়, পেশী, দাঁত ভালো রাখে, ত্বকের উন্নতি করে। এজন্য বাচ্চা, বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষের দুধ খাওয়া দরকারি। তবে কিডনি ও ডায়াবেটিসের রোগীদের চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ দুধ খাওয়া উচিত।

"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে", কবি ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর তাঁর ‘ইশ্বরী পাটনী’ কবিতায় দেবীর কাছে বর চাইতে গিয়ে এমনটি বলেছেন। বস্তুত সব বাঙালি মায়েরা এটা কামনা করেন, তার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে। শৈশবে দুধ পান করেননি এমন মানুষের সংখ্যা বিরল। আমাদের ছোটবেলায় মা কতই না আদর করে দুধ-ভাত খাওয়াতেন, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দুধ খাওয়ার সেই অভ্যাসটা আর স্থায়ী হয়ে ওঠেনা। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ৪-৫ বছর বয়সের পর দুধকে আর খাবার হিসেবে দেবার প্রয়োজন মনে করেন না। এই বয়সের পর তারা মাছ-মাংসের উপর বেশি জোর দিয়ে থাকেন। চন্দ্রবিন্দুর 'দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে' গানটা নিশ্চয় আমরা শুনেছি। দুধ না খেলে ভালো ছেলে হওয়া যাবে কি না এ বিষয়ে বিতর্ক থাকলেও, ভালো স্বাস্থ্য কিন্তু পাওয়া যাবে না সেটা নিশ্চিন্তে বলা যায়। কারণ মানুষের খাদ্যতালিকায় দুধ অন্যতম সর্বোচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার। এজন্য দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যগুলি কখনই খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত নয়। দুধের অপরিহার্য উপাদান ল্যাকটোজ, যা দৈহিক গঠন ও মেধাবিকাশে সহায়ক। তাই নিয়মিত দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে উঠুন।


লেখকঃ আর এস মাহমুদ হাসান
এম এস শিক্ষার্থী, মেডিসিন বিভাগ; বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

?>